আরুক মুন্সী যেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার জন্ম না হলে জন্ম হতো না স্বাধীন বাংলাদেশের। তার আদর্শকে বুকে ধারণ করেন এদেশের কোটি বাঙালি।

বঙ্গবন্ধু আর আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন না। তবে বঙ্গবন্ধুর চেহারার মতো যদি কাউকে দেখা যায়, তাহলে তো চমকানোরই কথা! চেহারায় কিছুটা মিলের এমনই একজন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর আরুক মুন্সী।

স্থানীয়রা জানান, আরুক দেখতে কিছুটা বঙ্গবন্ধুর মত। আর যখন মুজিব কোট ও কালো চশমা পড়েন বের হন তখন মানুষ তাকে দেখে চমকে যান। তিনি ঢাকায় থাকেন, গ্রামে এলে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা তাকে দেখার জন্য ভিড় জমান, তার সঙ্গে ছবি তোলেন।

জানা যায়, ১৯৬৯ সালের ৬ জুলাই কাশিয়ানী উপজেলার কামারোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আরুক মুন্সী। বাবা জহুর মুন্সীর মৃত্যুর পর আর্থিক সংকট দেখা দিলে অষ্টম শ্রেণী পাশের পর ১৯৮৬ সালে ঢাকায় গিয়ে গাড়িচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে তিনি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে (ডিপিডিসি) গাড়িচালক পদে চাকরি পান। তিন ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার হাতিরপুল পাওয়ার হাউজ এলাকায় থাকলেও ছুটি পেলেই ছুটে আসেন গ্রামের বাড়িতে। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর সুচাইলে একটি বাড়ি রয়েছে তার।

Bangabandhu

আরুক মুন্সী বলেন, আমি বর্তমানে ডিপিডিসি শ্রমিক লীর গ-৪৫৭৭ সিবিএ’র কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে আছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে চলার চেষ্টা করি। বঙ্গবন্ধু আর আমাদের মধ্যে আসবেন না। তবে তার আর আমার চেহারা কিছুটা একই রকম হওয়ায় জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেকেই আমাকে দেখতে আসেন। আমার সঙ্গে ছবি তোলেন। আমি এতে বিব্রত হই না, বরং আনন্দবোধ করি।

আরুক মুন্সীর স্ত্রী সুলতানা পারভীন বলেন, আমার স্বামীকে অনেকেই দেখতে আসেন। বঙ্গবন্ধুর মত দেখতে হওয়ায় অনেকেই ফোন করে তার সঙ্গে কথা বলেন। বাইরে গেলে অনেকেই আমাদের সম্মান করেন, এতে আমি খুব আনন্দিত।

কাশিয়ানী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খান জানান, আরুক মুন্সীকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি। বঙ্গবন্ধু নেই কিন্তু তার কোটি কোটি ভক্ত রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর চেহারার সঙ্গে আরুক মুন্সীর চেহারার কিছুটা মিল থাকায় গ্রামে এলে অনেকেই তাকে দেখতে ভিড় করেন।